অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এর সহজ ব্যবহার


বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েডের জয়জয়কার সারা বিশ্বে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও বাড়ছে সার্চ জায়ান্ট গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এর ব্যবহার। ব্যবহার করতে সহজ হওয়ায় জনপ্রিয়তাও বাড়ছে দ্রুতগতিতে। তবে ব্যবহার এবং ব্যবহারকারী বাড়লেও অনেকেই জানেন না এই ওএসের কিছু চমৎকার টিপস। অ্যান্ড্রয়েড একটি মুক্ত প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় যে কেউ এতে ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করে পারে। আর এ কারণেই অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের সুযোগ রয়েছে একে মনের মতো করে সাজিয়ে নেয়ার। চলুন দেখি কিভাবে ব্যবহার করলে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে পাওয়া যাবে উন্নত পারফরম্যান্স।

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম!

গুগল নাউ

দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজের ব্যস্ত থাকতে হয় সবাইকেই। কাজের ব্যস্ততায় অনেক কিছুই ভুলে যাওয়াটা স্বাভাবিক। তবে এ ভুল যাতে না হয় সে উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে ‘গুগল নাও’ অ্যাপ। কষ্ট করে গুগল অ্যাপে গিয়ে ‘গেট গুগল নাও’ লিখে ট্যাপ করলেই হবে। সারাদিনের প্রয়োজনীয় কাজের নোটিফিকেশন সেট করা যাবে এ পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টে।

লঞ্চার ও লক স্ক্রিন
গুগল প্লে স্টোর থেকে আপনি এমন অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন যা, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারফেস বদলে দেবে। এজন্য অ্যান্ড্রয়েড লঞ্চার ও লক স্ক্রিন লিখে গুগল প্লে স্টোরে সার্চ করলেই আসবে অসংখ্য লঞ্চার ও লক স্ক্রিন অ্যাপের তালিকা। পছন্দমতো একটি লঞ্চার ও লক স্ক্রিন নামিয়ে ইনস্টল করে ফেলতে পারেন। তবে অ্যাপ রিভিউ দেখে ও বুঝে নামানোই ভালো। এছাড়া একই সময় একাধিক লঞ্চার ও লক স্ক্রিন ব্যবহার করা উচিৎ না।

পাওয়ার সেভিংস মোড
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে প্রায়ই ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার সমস্যায় পড়তে হয়। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সেটিংস মেন্যুতে গিয়ে পাওয়ার সেভিংস মোড অন করলেই হয়ে গেলো সমাধান। তবে ডিভাইসের মডেল ভিত্তিক রয়েছে এসব ফিচারের মাধ্যমে কল, টেক্সট, ইন্টারনেট ব্রাউজ ইত্যাদি সব কাজেই পাওয়ার সেভ করা সম্ভব। তবে সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সবরকম ফিচার পাওয়া যাবে না।
গুগল ক্রোমে সাইন-ইন
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করতে হলে গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন-ইন করতে হয় যা সবাই জানেন। তবে বাড়তি সুবিধা নেয়ার জন্য গুগল ক্রোম ব্রাউজারেও সাইন-ইন করলে ভালো। এতে নিজের বুকমার্ক ও সর্বাধিক ভিজিট করা সাইটগুলোর তালিকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে। এছাড়া ব্রাউজার সেটিংসেও পাওয়া যাবে নিজের অগ্রাধিকার।
ফোল্ডার সাজানো
প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো ভিন্ন ভিন্ন ফোল্ডারে সাজিয়ে রাখলে কাজের সময়ে সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। একইধরনের অ্যাপগুলো একটি ফোল্ডারে রেখে পছন্দের নাম দিয়ে রাখলে আর বিশৃংখল দেখাবে ডিভাইসটি। ফোল্ডার তৈরির জন্য অ্যাপটির আইকনের উপর আঙুল ধরে তা ড্র্যাগ করে উপরের বাম পাশে ‘ক্রিয়েট ফোল্ডার’-এ নিয়ে গেলেই তৈরি হয়ে যাবে ফোল্ডার।
থার্ড পার্টি কিবোর্ড
অ্যান্ড্রয়েডের ডিফল্ট কিবোর্ডে অনেকেই টাইপ করে স্বস্তি পান না। সমস্যা ঝেড়ে ফেলে দিতে গুগল প্লে স্টোরে বহু থার্ড পার্টি কিবোর্ড অ্যাপ পাওয়া যাবে যেগুলো ব্যবহার করে সহজেই টাইপ করা সম্ভব।
ক্রোম ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট
ইন্টারনেটের ডেটা লিমিট দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে ক্রোমের ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে অপ্রয়োজনীয় ডেটা বাদ দিয়ে ব্যান্ডউইথের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে ব্রাউজার ব্যবহারের সময় বিভিন্ন সাইটে ছবি ছোট ফরম্যাটে নিয়ে এসে ব্যান্ডউইথের সাশ্রয় করা যায়।
গুগল অথেনটিকেটর
ব্যবহারকারি তার গুগল অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থাকলে গুগল অথেনটিকেটর ব্যবহার করতে পারেন। এটি দুটি পর্যায়ে অ্যাকাউন্ট ভ্যারিফিকেশন করে। ফলে সাইন-ইন করার সময় পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি একটি কোডও জেনারেট করার প্রয়োজন হয়। সেটিংস থেকে যেকোন সময় কোড জেনারেট করার অপশন চালু করা যায়।
ডিফল্ট অ্যাপস
কোনো লিংকে ক্লিক বা ভিডিও প্লে করলে যে ব্রাউজারে বা প্লেয়ার ওপেন হয় তা কি বদলাতে চাইলে সেটিংসে গিয়ে অ্যাপ সংলগ্ন ক্লিয়ার ডিফল্ট বাটনে ট্যাপ করলেই হবে। এছাড়া নিজেন পছন্দের ব্রাউজারে বা প্লেয়ার নির্বাচনও করা যাবে নিজের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে।
অতিরিক্ত ব্যাটারি
প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনেরই ব্যাটারির সমস্যা থাকে। সব সময় চার্জের ব্যবস্থাও থাকে না। এ সমস্যা সমাধানে বাড়তি একটি ব্যাটারি ব্যবহার করা যেতে পারে। চলার পথে ব্যাটারির চার্জ শেষে হয়ে গেলেও আরেকটি ব্যাটারি ব্যবহার করে সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।

0 comments:

Post a Comment