আর কত এভাবে একে অপরকে দোষ চাপিয়ে আপনারা চলবেন?


কথায় কথায় হরতাল। কদমে কদমে হরতাল সেকেন্ডে সেকেন্ডে হরতাল আর কত হরতাল? আরতো ভালো লাগে না রে ভাই হরতালের দিনে গাড়িতে চড়তেও ভয় লাগে কখন আবার কে কোথা থেকে কোন আগ্নেয়াস্ত্র ছুড়ে মারে।শুধু কি তাই? এতো গেল পিকেটারদের ভয় সাথে আবার আছে আইন-শৃঙ্খলা বাহীনির ভয় কখন আবার কোন কারণ দেখিয়ে ধরে নিয়ে যায় আর শুরু করে দেয় কোন কান্ড?
আসলে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর একই অভ্যাস। যখন তারা ক্ষমতাহীন হয়ে যায়, তখনই তাদের সেই ক্ষমতা পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য শুরু করে দেয় হরতাল-ধর্মঘট প্রভূতি কান্ড। আবার যখন ক্ষমতা পেয়ে যায়, তখন শুরু করে দেয় আরেক পায়তারা আর বলতে থাকে “যারা হরতাল দেয় তারা নাকি দেশ ও জাতির শত্রু” 
এখন যদি ঢাকাতে একটা ঠাডা পরে তাহলে কিছু ক্ষণের মধ্যেই দেখবেন আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দগণ টিভিতে বলা বলি শুরু করেবেন। এর মধ্যে অমুক দলের হাত রয়েছে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই সরকার দলের লোকজন বলবেন, “এটা শিউর বিরোধি দলের দোষ, এই ঠাডার পিছনে অবশ্যই বিরোধী দলের হাত আছে। তা না হইলে বিশ্বে এত দেশ থুইয়া, বাংলাদেশে ঠাডা পড়ল কেন?”
আর বিরোধী দল বলবে, “এটা সরকার দলের নৃসংশতারই একটি অংশ। সরকার দল চায় না এদেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করুক। তাই তারা প্রতিবেশী দেশ থেকে ঠাডা ক্রয় করে এনে বাংলাদেশ ঠাডা ফালাইছে। তাই জনগণের দাবি অনুযায়ী, এখনই আপনারা ক্ষমতা ছাড়ুন। তা না হলে জনগণ আপনাদের ছাড়বে না।”
একদিনের হরতালে যে কি পরিমাণ ক্ষতি হয় তা একমাত্র ভূক্তোভোগীরা জানেন। আপনি হয়ত ভাবছেন যে, আমি দেশের অর্থনৈতিক অচলাবস্থার কথা বলছি। হ্যা আপনার ধারণা আংশিক ঠিক তবে আমি শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতির কথাটিই ভাবছিনা একটি হরতালের মাধ্যমে একটি মানুষের অপমৃত্যু বা অকাল মৃত্যুর মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যায় একটি পরিবার। যেই পরিবারে একজনমাত্র লোক উপার্জনক্ষম সেই পরিবারের ঐ লোকটিই যদি হরতালের কারণে অকাল মৃত্যুকে বরণ করে নিতে হয় তাহলে এই পরিবারটির কি হবে? এই পরিবারটির ভবিষ্যত কি? সেই পরিবারের নারী শিশু গুলোর মৌলিক অধিকারতো দূরের কথা তিন বেলা খাওয়াটাই হয়ত সম্ভব হবে না।
আর এই রকমের শত শত মৃত্যু হয়ে থাকে একটি হরতালে এসকল অকাল মৃত্যুর জন্য কে দায়ী? এই প্রশ্নের উত্তরে আবারও সেই একই কথা, এটা বিরোধি দলের দোষ, এটা অবশ্যই সরকার দলের দোষ।

আর কত এভাবে একে অপরকে দোষ চাপিয়ে আপনারা চলবেন?

0 comments:

Post a Comment