অনাকাঙ্খিত ভাবে গ্রেফতার বা আটক হলে কি করবেন?


পুলিশ কোন ব্যক্তিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার অধীনে যুক্তিসঙ্গত সন্দেহে বা অন্য কোন কারনে আটক করতে পারে। ওয়ারেন্ট এর অধীনে গ্রেফতার এর ক্ষেত্রে কার্যবিধির ধারা ৮০ অনুসারে পুলিশ গ্রেফতার করার ক্ষমতা রাখে। অনাকাঙ্খিতভাবে এই আটকের শিকার হতে পারেন আপনিও। বাংলাদেশ সংবিধান আপনার সুরক্ষার জন্য রেখেছে কিছু ধারা। জেনে নিন সেসমস্ত আইনগত অধিকার সম্পর্কে।

পুলিশ যদি কোন ব্যক্তিকে রাস্তায়,বাড়িতে বা গাড়ি চালানোর সময় থামিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে, সেক্ষেত্রে আপনি আপনার নাম ঠিকানা ও পেশা তাকে জানাতে পারেন।

পরিচয়পত্র সাথে থাকা সাপেক্ষে আপনি তা দেখাতে পারেন। এইসব বিষয় ছাড়া পুলিশকে আপনার অন্য কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে না। পুলিশকে তার পরিচয়পত্র সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন এবং সব সময়ই পুলিশের নাম,পরিচয় পত্রের নাম্বার,এবং টহল গাড়ির পেট্রোল কারের নাম্বার নিয়ে নিবেন।

উপরের প্রশ্নগুলো ছাড়া পুলিশ যদি আপনাকে আরো প্রশ্ন জিজ্ঞাস করে,তাহলে আপনি পুলিশকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন আপনি গ্রেফতার হয়েছেন কিনা ? যদি পুলিশ হাঁ বলে, তাহলে আপনি পুলিশকে আর কোনো প্রশ্নের উত্তর দেবেন না। এটা আপনার অধিকার। আপনি শুধু কোর্টেই জবাব দিতে বাধ্য। আর যদি পুলিশ বলে না,তাহলে আপনি যেকোনো সময় চলে যেতে পারেন।

কী করবেন আটক হলে?
যদি আপনি আটক হন তাহলে আপনার মোবাইল থেকে আপনি বন্ধু,পরিবারের লোক বা আইনজীবিকে জানাতে পারেন। আটকের পর আপনাকে যতদূর সম্ভব সংশ্লিষ্ট পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যেতে পারে। আপনি আপনার পারিবারিক লোক অথবা আপনার আইনজীবীকে থানায় অথবা ডিবি অফিসে এসে আটকাদেশের যথার্থতা সম্পর্কে বা কোথায় আছেন জানতে বলবেন।

-কেন আপনাকে আটক করা হয়েছে পুলিশ আপনাকে বলতে বাধ্য । এটা আপানার আইনগত অধিকার।
-পুলিশ অবশ্যই আপনাকে ২৪ ঘণ্টার বেশি লকআপে রাখতে পারবে না। এটাও আপনার সাংবিধানিক অধিকার।
-আটককৃত ব্যক্তি যাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে, তাকে অবশ্যই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটস্থ ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে হাজির করতে হবে। তবে ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার পর পুলিশ অবশ্যই রিমান্ডের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অনুমতি চাইবে। অন্যথায় পুলিশ আপনাকে জামিন অথবা আদালতে চালান দেবে।

-পুলিশের মৌখিক প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে আপনাকে সাবধান হতে হবে। যদি কোন পুলিশ আপনার কোনো বর্ণনা জানতে চায়,তবে আপনি শুধু আপনার পরিচয়,নাম ঠিকানা ইত্যাদি দিবেন এবং উক্ত পুলিশ অফিসারের নাম জেনে নিন।অন্য যেকোন প্রশ্নের উত্তর আপনি আপনার আইনজীবীসহ কোর্টে ছাড়া দিবেন না,এটা আপনার অধিকার। ফৌজদারি বিধি ৩৩ (১) ধারা মতে আপনি আলোচনা বা পরামর্শের জন্য আপনার সুবিধামত যেকোন আইনজীবীর সাথে কথা বলতে পারেন।

-কিন্তু মনে রাখবেন,পুলিশের উদ্দেশ্য আপনাকে চালান দেওয়ার জন্য কারন খুঁজে বের করা। আপনি পুলিশের সাথে নিকট যা-ই বলুন না কেন,তা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারে।তাই উত্তরগু দেওয়ার আগে আপনি অবশ্যই চিন্তা করবেন যেন এই উত্তরগুলিকে আদালাতে আপনার বিপক্ষে না যায়।

আপনার পরিধেয় বস্ত্র ব্যতীত অন্য কিছু আপনি জেলখানার ভেতরে নিতে পারবেন না।আপনার যদি টাকা অথবা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড থাকে,তবে আপনি গণনা করে নিশ্চিত হোন এবং জমা দিয়ে লিখিত নিতে পারেন। স্বাক্ষরের আগে সবকিছু মিলিয়ে নিন।
আটকের কোন পর্যায়ে অসুস্থ হলে আপনি আদালতের মাধ্যমে বা নিজ উদ্যোগে মেডিকেল চেকআপ করিয়ে এর রিপোর্ট সংগ্রহে রাখবেন এবং চিকিৎসা প্রদানকারী ডাক্তার এর নাম পরিচয় জেনে রাখবেন যা সাক্ষ্য পর্যায়ে আপনার কাজে লাগবে।



পোস্টটি সম্পূর্ণ নিজে কস্ট করে লিখেছি তাই কেউ কপি করে নিজের নামে চালানোর চেস্ট করবেন না যদি করেন তাহলে অবশ্যই DMCA তে আমি রিপোর্ট করব ।
কম্পিউটার স্পীড না হওয়ার পিছনে প্রধান কারন ও সমাধান ।


কম্পিউটার স্পীড না হওয়ার পিছনে একটি প্রধান কারণ কম্পিউটারের ভুলভাল ফাইল, ফোল্ডার যেখনে ।
সরাসরি দেখুন বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৫ ।
সকলকে সালাম আর আল্লাহ পাকের নিকট সুস্বাস্থ্য প্রার্থনা করে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টটি পোস্টটি মূলত যাদের ব্লগ/ওয়েব সাইট আছে তাদের জন্য ।


0 comments:

Post a Comment