ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি । সালাত বান্দাকে আল্লাহর সবচেয়ে নিকটে নিয়ে যেতে সাহায্য করে । হাদীসে বলা হয়েছে বান্দা যখন সিজদায় যায় তখন সে আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় হয় । কোরআনে প্রায় ৮২ বার আল্লাহ নামাজ আদায় করার কথা বলেছেন । হাদীসে প্রিয় নবী (সঃ) অনেক তাগিদ দিয়ছেন এই সালাতের ব্যাপারে । সালাত হল এমন এক ইবাদত যা মুসলিম ও অমুসলিম এর মাঝে পার্থক্য করে দেয় । নামাজ মানুষকে সকল প্রকার পাপ কর্ম থেকে দূরে রাখে ।
এই নামাজেই কেবল মাত্র মানুষের অন্তরকে শান্তি দিতে পারে । কিন্তু নামাজ আদায় করতে গিয়ে আমাদের মনোযোগ থাকেনা নামজে । কল্পনার জগতে মানুষ বড়ই বেপরোয়া । তাই ইচ্ছা করেও ধরে রাখতে পারে না মনোযোগ নামাজে ।
তাই কেন নামাজে মন থাকে না তা আমার কিছু বাস্তব সম্মত কারণ তুলে ধরছি
সালতে এত সব কল্পনা কেন
অনেক কঠিন বিষয়ের সমাধান খুব সহজে চলে আসে নামাজে দ্বাড়ালে । অনেক জটিল হিসাব খুব সহজে মিলে যায়। এসবের কারণ হতে পারে নিচের যে কোন একটি বা একাধিক,
অনেক কঠিন বিষয়ের সমাধান খুব সহজে চলে আসে নামাজে দ্বাড়ালে । অনেক জটিল হিসাব খুব সহজে মিলে যায়। এসবের কারণ হতে পারে নিচের যে কোন একটি বা একাধিক,
১। সালত কে নিছক ধর্মীয় অনুষ্ঠান মনে করাঃ কেনল মাত্র কিছু মুখস্ত সুরা, দোয়া, মন্ত্রের মত পাঠ করা । তারপর রুকু করা সিজদাহ করা ,এভাবে নামাজ শেষ করা । পুরো বিষয়টি কেমন যেন একটা যান্ত্রিকতা ও অনুষ্ঠানিকতা । সালতের সাথে অন্তরের একটা যে যোগসাজস আছে তা অনেকেরই উপলব্ধি হয় না ।
২। সালতকে যথাযথ মুল্যানয় না করাঃ দৈনদ্দিন আর পাঁচ টা কাজের মত মনে করা এই পবিত্র সালাতকে । অথচ দুনিয়া আখেরাতে কামিয়াবির একমাত্র উপাই।
৪। অর্থ না বোঝাঃ সালাত যেহেতু পুরোটাই আরবি ভাষায় তাই এর অর্থ আমরা সহজেই বুঝি না । আর এই অর্থ না বোঝার ফলে আমাদের মুখস্ত সুরা গুলো মুখে বলতে থাকি কিন্তু অলস অন্তর অন্য চিন্তায় ব্যাস্ত থাকে । আর যদি বোঝা যেত তাহলে অন্তর সেটা নিয়ে ভাবতো।৩। পাপ কাজে ডুবে থাকাঃ নিয়মিত সালাত আদায় করা সত্তেও অনেক মুসল্লি আছেন যারা প্রকাশ্য ও নিয়মিত পাপে ডুবে থাকেন । মানুষের স্বভাবত বিশিষ্ট যে সে সব সময় যা করে তা তার সবসময় মনে থাকে । তাইতো নামাজে সিনেমার কোন অংশ মনে আশাটা অসম্ভব নয় । অনেকে আবার নাটক ,সিনেমার , মাঝে মাঝে বিরতি বা এড দেয়ার সময় খুব তারাতারি করে নামাজ সেরে ফেলেন।
৫।আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার বেশী মুল্যায়ন করাঃ আজকাল সবাই সাথে সাথে ফিড ব্যাক পাওয়ার চিন্তা বেশী করে । তাইতো নামাজের অয়াক্তে অন্য বিষয় নিয়ে ব্যাস্ত থাকে নামাজ কে ভুলে। আর বিশেষ করে উপার্জনের ব্যাপারে ইসলামের তোয়াক্কা না করা।
৬।জায়নামাজ ও মসজিদে নকশা-কারুকার্য করাঃ বিশেষত নামজের জায়গায় এসব কারুকার্য থাকলে মনোযোগ টা সেই দিকে চলে যায় । যার ফলে নামাজের একাগ্রতা নষ্ট হয় ।
৭। সালতের হুকুম আহকাম ঠিক ভাবে অনুসরন না করা । রাসুল(সঃ) যে ভাবে নামাজের নিয়ম দেখিয়েছেন তা সঠিক ভাবে না মানা।
৮।শয়তানের প্রভাবঃ যেহেতু সালাত সবচেয়ে বড় ইবাদত তাই এতে শয়তানের প্রভাবও বেশী । শয়তান তার সর্বচ্চ শক্তি দিয়ে বান্দার সালাত নষ্টের কাজে নেমে পরে । কিছু শয়তানের এ ব্যাপারে কাজ ভাগ করে দেয়া থাকে। নামাজ নষ্ট কারী শয়তানের নাম ‘খানযাব’। সালাতে ইদিক ওদিক তাকানো এটাও শয়তানের প্রভাবের ফল।
৯। নিয়মিত কোরআন হাদীস পাঠ না করা । কোরআন হাদিস নিয়মিত পাঠ আমাদের অন্তরকে রাখে পবিত্র।
0 comments:
Post a Comment